সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার মূল হোতা টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে নতুন করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
বুধবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম আদালতে রুবেল শর্মাকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করেন।
খায়রুল ইসলাম জানান, এর আগে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় রুবেল শর্মাকে। রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু আরও তথ্য পাওয়ার জন্য তাকে আরো রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন, তাই পুনরায় রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়।
পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান
সিনহা হত্যা মামলার ১৪ আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি হিসেবে সংযুক্ত হন রুবেল শর্মা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৯ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে মামলা করেন।
এই ঘটনায় টেকনাফ থানার সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ, প্রধান আসামি বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ সব আসামিকেই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গ্রেফতার ১৩ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি।
এই মামলা বাতিল চেয়ে লিয়াকত আলীর পক্ষ থেকে করা রিভিশন মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে আগামী ১০ নভেম্বর।
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি আলাদা তদন্ত করেছে। তারা সেপ্টেম্বরের শুরুতে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দেয়। এতে ১৩টি সুপারিশ রয়েছে জানালেও তা প্রকাশ করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব। গত শুক্রবার র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। মামলার তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।’
‘তবে তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলা সমীচীন হবে না’- মন্তব্য করেন র্যাব প্রধান।